০৪ মে ২০২৪, ০১:১২ পূর্বাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তিন বছর পূর্বে জালিয়াতি করে জমি রেজিস্ট্রি ও বসতবাড়ি দখলের অভিযোগে দলিল লেখক কাওসারসহ দাতা, গ্রহীতা ও এক সাক্ষীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঝালকাঠি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলার কেওতা গ্রামের সাইফুল ইসলাম জুয়েলের করা মামলায় সিআইডি পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের পরে ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে চারজনকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। এরা হলেন- রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো: কাওসার হোসেন মোল্লা, দাতা উপজেলার কানুনিয়া গ্রামের জয়নাল খান, গ্রহীতা কেওতা গ্রামের মো: রফিকুল ইসলাম ফকির ও দলিল লেখকের সহকারি ও জালিয়াতি দলিলের সাক্ষী হুমায়ুন কবির সবুজ।
এই মামলার অপর এক অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি হওয়া ২৪৯২ নম্বর দলিলে উপজেলার কেওতা মৌজার এসএ ১৩৪, বিএস ১১৪৭ খতিয়ানের ৪২৮ দাগের ১৩ শতাংশ সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যমে বসতবাড়ি দখলের মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মং চেনলা গত মাসের ৯ তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দাখিলকৃত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন জাল জালিয়াতি, ভুয়া, বানোয়াট, রেকর্ড সৃষ্টি করিয়া সাব-রেজিস্ট্রার রাজাপুর এর নিকট ভুল তথ্য উপস্থাপন করিয়া প্রতারণার মাধ্যমে আসামীরা দলিল সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য জাল দলিলের গ্রহীতা ও বসতবাড়ি দখলদার আসামী রফিকুল ইসলামের মাকে মামলার বাদী কেওতা গ্রামের সাইফুল ইসলাম জুয়েল তার নিজ বসতবাড়িতে ২০১৪ সালে বৃদ্ধা দাদীকে দেখাশোনা করার জন্য মাসিক চুক্তিতে দাদীর সাথে বসবাসের জন্য আনেন। এর পরে আসামী রফিক ওই সম্পত্বির অপর এক ওয়ারিশের নিকট থেকে ক্রয় করা ৫ শতাংশ জমিতে পরিবারসহ বসবাস করতে শুরু করে। মামলার বাদী জুয়েল পরিবারসহ ব্যবসায়ীক কারণে বরিশালে বসবাস করার সুয়োগ নিয়ে আসামী রফিক জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জুয়েলের দাদীর বসত বাড়ির ১৩ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে ২০১৪ সালে দাদীর বসতঘর দখল করে নেয়।’